নিউজ ডেস্ক:-

বাংলাদেশের কথিত কবি আবৃত্তিশিল্পী মেহবুব মল্লিককে ঘিরে চলছে বিতর্কের ঝড়।আবৃত্তির বিনিময়ে টাকা দাবী তার যেনো নিত্য পেশা জানিয়েছে ভুক্তভুগীরা। নিজেই গড়ে তুলেছেন সুন্দরবন সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ নামে এক কথিত সংগঠন। যার ব্যানারে ঘোষণা করছেন সুন্দরবন সাহিত্য পুরষ্কার ২০২২।

 

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর ঝড় উঠেছে। কেউবা তার প্রতিবাদ জানিয়ে পুরষ্কার বর্জন করেছেন । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীদের কুপ্রস্তাব প্রদানেও নেই তার জুড়ি। কখনো পরিচয় দেন তিনি ভারত বাংলাদেশের অন্যতম লেখক কখনো বা পরিচয় দেন চট্টগ্রাম মাস্টারদা সূর্যসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন গভর্নিং বডির সদস্য। তিনি বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন ভারত সরকার থেকে তাকে প্রদান করা হয়েছে আবৃত্তি শ্রী পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে । তার নামে ভারতে একটি আবৃত্তিমঞ্চ স্থাপন করেছে শিশু কিশোররা, তার লেখা কবিতা পড়ানো হচ্ছে ভারতের ৫টি বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে,তার নামে ফুটবল টুনামেন্ট আয়োজন করা হয়েছে ভারতে বলে জানিয়েছিলেন মেহবুব মল্লিক। যার একটিরও প্রমাণ মিলেনি। তিনি এও দাবী করেন নবি তার নাম ভবিষ্যদবাণী করে গেছেন যা চুড়ান্ত ভন্ডামি বলে মনে করেন ইসলামী চিন্তাবিদগণ। তার এ পুরষ্কার নোবেল খ্যাত বলে দাবী করে আসছেন কথিত এই পুরষ্কারদাতার। এমন কর্মকান্ডে সাহিত্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে জানিয়েছেন অনেকে।

এমন বিতর্কের কারণে এই পুরষ্কার প্রত্যাখান করেছেন গাঙ্গচিল সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা খান আখতার হোসেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার একটি পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন,” এই সংগঠন বিভিন্ন বিতর্কিত কার্যক্রমের জন্য সমালোচিত হচ্ছে। যা সাহিত্যাঙ্গণের জন্য মটেও ঠিক নয়। তাই আমি বিনয়ের সাথে আমাকে দেয়া পুরষ্কার বর্জন করলাম।” অন্যদিকে এমন বিতর্কিত পুরষ্কার বর্জন করেছেন মুক্তবাণী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদের প্রতিষ্ঠাতা তরুণ কবি এস এ মিশন। বিশ্লেষকরা জানান, “দ্রুত এমন ভুয়াফোড় সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।এই নেক্কারজনক বিতর্কিত পুরষ্কার সাহিত্য অঙ্গনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। উপযুক্ত তদন্ত সাপেক্ষে মেহবুব মল্লিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।”